মোঃ জয়নাল আবেদীন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে খায়রুন আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুর হাত-পা-মুখ বাধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাঁশঝাড় থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে পাওয়া গেছে ওই গৃহবধুর জুতা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ৫ নং দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা। গৃহবধূ খায়রুন আক্তার ওই গ্রামের তাজমুল ইসলামের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে।
স্হানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী এক সপ্তাহ আগে ধান কাঁটার কাজ করতে কুমিল্লায় গেছেন। গৃহবধূ খায়রুন বৃদ্ধা শ্বাশুড়ির সাথে বাসায় থাকতেন। সোমবার ভোরবেলা দরজা খোলা পেয়ে গৃহবধূকে খোঁজাখুজি করেন শ্বাশুড়ী ও প্রতিবেশীরা। পরে ভুট্টখেতে জুতা এবং টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়া মাটির দাগ দেখে এগিয়ে গেলে বাঁশঝাড়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পান ।পরে পুলিশে খবর দেন।
গৃহবধূর ভাই আলমগীর জানান, ২০১৭ সালে তাজমুলের সঙ্গে বোনকে বিয়ে দিয়েছিলেন। ৮ বছরে তার কোন সন্তান হয়নি। এ নিয়ে সামান্য কলহ ছিল। তবে অভাবের সংসারে তারা দুজনেই পরিশ্রম করতো। সকালে বোনের মরদেহ পাওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসেছেন তারা।গৃহবধূর স্বামী তাজমুলকে মোবাইলে খবর দেওয়া হয়েছে, তিনি বাসায় আসার জন্য গাড়ীতে উঠেছেন।
গৃহবধূর অন্যান্য স্বজনরা জানান, ভোরবেলা মোবাইলে ডেকে ঘরের বাইরে এনে হত্যার পর টেনে হেচড়ে ৩০০ গজ দূরে নিয়ে মরদেহ ফেলে গেছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন তারা।
গৃহবধূর শ্বাশুড়ী বৃদ্ধা দবিজান জানান, ভোরবেলা গলার শব্দ পেয়েছিলাম। এরপরে সকালে উঠে দেখি দরজা খোলা। কারা কোন সময় খায়রুনকে বাইরে নিয়ে গেছে বলতে পারছি না। ছেলেটাও বাড়িতে নাই ধান কাটতে কুমিল্লায় গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত দিবাকর অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে মরদেহ উদ্ধারের কাজ করছে পুলিশ। গৃহবধূর মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার এবং সিআইডি’র টিম এসেছে।