১৬টি মামলা ও হুমকিতে দিশেহারা টমটম চালক আহমদ আলী

জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী কর্তৃক একের পর এক মামলা ও হুমকি ধামকির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টমটম চালক আহমদ আলী। গত ৯ বছরে হুমকির পাশাপাশি ১৬টি মামলার সম্মুখীন তিনি।

মামলা ও হুমকির ভয়ে ৮ সদস্যের পরিবারের আয় রোজগারের উপার্জনক্ষম ওই ব্যক্তি বর্তমানে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না। মামলা-মকদ্দমা চালাতে গিয়ে আহমদ আলী কয়েক লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্ত উপায়ন্তর না পেয়ে ইতোমধ্যে তিনি জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গ্রামবাসীকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসি। সালিশে আমার প্রাপ্য জায়গা ১১ শতাংশের দখল ফিরে পেলেও তাদের নামে রেকর্ড রয়ে যায়। এতে সুনামগঞ্জ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুানালে একটি মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে বিচারাধীন। ফলে আমার উপর একের পর এক নানা অভিযোগ ও মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা শুরু হয়। মাত্র ১১ শতাংশ ভূমির জন্য আমার মতো একজন টমটম চালক-কে গত ৯ বছরে ১৬টি মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ ও মামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

এসব হয়রানিমূলক অভিযোগ ও মামলা চালাতে গিয়ে আমি এখন দিশেহারা।

তিনি বলেন, স্ত্রী সন্তান সহ আমার আট সদস্যের পরিবারের একমাত্র ভরণপোষণকারী আমি। ওই জমিকে কেন্দ্র করে আমার চাচী মালা বিবি গংদের মামলার কারণে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মেজর পরিচয় দিয়ে মুহিব খান নামের জনৈক ব্যক্তি প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে, এতে ভয়ে বাড়ি ছাড়া।

সর্বশেষ চলিত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চাচাত ভাই লন্ডন প্রবাসী রফিক আলীর স্ত্রী প্রবাসী সুমাইয়া ইসরাত বাদী হয়ে আমি ও আমার ভাতিজা আব্দুল সাহারের বিরুদ্ধে ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। উক্ত এজাহারে আহমদ আলীর বিরুদ্ধে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা রূপালি ব্যাংক পিন নাম্বার ৩১২৪৪৪৫৫৬৬৭০১সি- এর কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু উক্ত টাকা উত্তোলন হয়নি।
বর্তমানে ওই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *