ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর ক্ষতিগ্রস্ততার চিত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরায় ছিলো এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে ইয়ুথনেট ময়মনসিংহের উদ্যোগে Global Climate Strike কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবছর নদীভাঙ্গনের ফলে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এটি যেন নিত্যদিনের হুমকি। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনের ফলে কী ধরনের ক্ষতিগ্রস্ততার শিকার হন, কীরকম ঝুঁকিতে রয়েছেন ইত্যাদি জনসম্মুখে তুলে ধরার উদ্দেশ্য এই কর্মসূচি।
এসময় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন সচেতনতামূলক উক্তি, বাণী ইত্যাদি লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে দেয়ার্স নো প্ল্যানেট বি’, ‘স্টপ ক্লাইমেট চেঞ্জ’,উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ক্লাইমেট জাস্টিস’,বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, ‘নিড সলিউশন, নট পলিউশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। এছাড়া জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে বর্তমান যুব সমাজের ভাবনা ও দাবিগুলোর বহিঃপ্রকাশ করে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করা হয়।
সমাবেশে জলবায়ু যোদ্ধারা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে।
ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলোর তরুণ, কৃষক, নারী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে।
এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে।
এই অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে।