আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরেও থামছে না গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বরতা।
ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের নতুন হামলায় ওই ভূখণ্ডে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এর ফলে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন গত রবিবার ৫৩ জন নিহতকে গাজার হাসপাতালে আনা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৩০৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল।
তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল! কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে আবারো গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক হাজারেরও বেশি নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় ২৪০০ জন ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি