ডেস্ক নিউজঃ
পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র প্রেসক্লাব এলাকা বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন পাওনার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। এতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় পল্টন মোড়সহ আশপাশের এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের দাবি নিয়ে শ্রমিকরা শ্রম ভবন থেকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ের মাঝের লিংক রোডে পৌঁছালে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এসময় শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এর একপর্যায়ে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা সরদার বুলবুল আহমেদ জানান, সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দীলিপ রায়কে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে, এতে ৪০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
টি এন জেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড, রোর ফ্যাশন, স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টস ও ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এই আন্দোলনে অংশ নেন।