চুয়াডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জাফরপুর গ্রামে মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের জের ধরে অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাফরপুরের পাওয়ার হাউস পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবা এনামুল হক জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার এনামুল হক জনি (৪০) উপজেলার জাফরপুর এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানায় ,জাফরপুরের পাওয়ার হাউস পাড়ার জনি একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতো। এর আগেও তার একাধিক বিয়ে হয়েছিল। জনির আগের স্ত্রীর একটি কন্য সন্তান রয়েছে। ১৪ বছর বয়সী ওই কন্যাসন্তান মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বিভিন্ন সময় সেই মেয়েকে কু-নজর ও কু-প্রস্তাব দিতেন জনি।

জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জনি নিজের মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।তখন কৌশলে নিজেকে রক্ষা করে শিশু মেয়েটি। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তার এক বান্ধবীকে জানায়।

এরপর গত ১৪ মার্চ কর্মস্থল থেকে বাবার বাড়িতে ফেরার কথা শুনে ,মেয়েটি ঘরে থাকা তিনটি প্যারাসিটামল ঔষুধ সেবন করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও দেওয়া হয় । তখন বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনা জানাজানি হলে গতকাল সোমবার অভিযুক্ত জনির বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান জানান, ওই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার দুই ঘণ্টার মধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের কাশিপুর গ্রামের তার মামার বাড়ি থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *