৪ জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করলো হামাস, মুক্তি পাচ্ছেন ফিলিস্তিনি বন্দীরা

নতুন এক চুক্তির মাধ্যমে চার জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। এর বিনিময়ে কয়েকশ বন্দীর মুক্তির আশা করছে তারা। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এ সপ্তাহের শনিবার ওই বন্দীদের মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও কথিত এক অভিযোগের ভিত্তিতে তা স্থগিত করে ইসরাইল। যার ফলে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নতুন চার জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরের একটি চুক্তি হয়। যা কার্যকর করলো হামাস। প্রাথমিকভাবে, টিসাচি ইদান, ইতঝাক এলগারাত, ওহাদ ইয়াহালোমি, শ্লোমো মানতজুর নামে ওই চার মৃত জিম্মিকে শনাক্ত করেছে ইসরাইল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় তারা নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, গাজায় ভঙ্গুর এক যুদ্ধবিরতির পর রাতারাতি এ বিনিময় করেছে হামাস ও ইসরাইল। এ সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে প্রথম ধাপের বন্দী ও জিম্মি বিনিময় কার্যক্রম। তবে পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে এখনও সংশয় রয়ে গেছে। হামাস জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। কেননা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কার্যকর করা।

এদিকে বিবিসি বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দী ভর্তি একটি বাস ইতিমধ্যেই পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছেছে। তবে বাসে ঠিক কতজন বন্দী রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। চুক্তির আওতায় ছয় শতাধিক বন্দীকে মুক্তি দেয়ার কথা ইসরাইলের। কিন্তু আরব মিডিয়াগুলো জানিয়েছে বাসে ৪০ জনের বেশি বন্দী রয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার হামাস এক মঞ্চায়িত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছয় ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়, কিন্তু ইসরাইল তখন বন্দি মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রথম থেকেই জীবিত ও মৃত জিম্মিদের হস্তান্তরের আগে জনসম্মুখে তাদের নিয়ে আসছে হামাস। কিছুদিন আগে মৃতদেহ হস্তান্তর করার সময়ও কফিনগুলো জনসম্মুখে প্রদর্শন করে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পক্ষ ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিল। চূড়ান্ত বিনিময়ের সময় আর কোনো রকম জনসম্মুখে হস্তান্তর বা আয়োজনের চেষ্টা করেনি হামাস।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি সীমান্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো শনাক্তের চেষ্টা করছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কফিনগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চার জিম্মির মৃতদেহের ওপর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পরে প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *