সিলেটের বিশ্বনাথ এখন উত্তাল, রাজপথে প্রতিদিন নামছে ছাত্রজনতা
এস.পি.সেবু, বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি :
“প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু করে প্রথমে ”
আওয়ামী বাকশালী হাসিনালীগের অবৈধ ধজভঙ্গ সরকারের পতনের পর পর ৫ আগষ্ট নতুন সূর্যোদয় গঠে বাংলাদেশে। সারা দেশে আওয়ামী শিক্ষকদের পদত্যাগ আর বহিস্কারের হিড়িক পড়ে।
মন্ত্রী, এমপি,হুইপ, মেয়র,চেয়ারম্যান, মেম্বার আর আমলা চামলারা আত্বগোপন কিংবা পালিয়ে বা ধরা পড়ে প্রশাষনের খাঁচায়।
এরই ধারাবাহিতায় দেশসহ সিলেট, এবং বিশ্বনাথে উত্তাল হয়ে উঠে আন্দোলনের চাঙ্গা ভাব।
বিশ্বনাথ উপজেলার ও পৌর শহরের বিশঘর আনরপুর প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুল দুর্নীতিগ্রস্ত
ও আওয়ামী হাসিনা পেশাজীবি লীগ সিলেটের সদস্য খুনি ফারুক ইকবাল নামের প্রধান শিক্ষককে
বহিস্কার করে প্রাক্তন(সাবেক)ও বর্তমান “প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ” ছাত্র সংসদ ও অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
ফারুক ইকবালের দ্রুত অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে বিক্ষোভ মিছিল,সমাবেশ, পদযাত্রা ও স্কুল থেকে ১০ কিমি পায়ে হেঁটে লংমার্চ করে “বিশ্বনাথ উপজেলা ”
ইউএনও, সহকারী কমিশনার, শিক্ষাঅফিসার ও স্থানীয় থানা প্রশাষনে অভিযোগ পত্র দাখিল করে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবালকে অপসারণের বিষয় আশ্বাস দেন প্রশাষন কতৃপক্ষক।
এ ঘটনার পর প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল আত্বগোপনে থেকে অনেক শিক্ষার্থীদের অভিবাবকবৃন্দকে হুমকী দামকি প্রদান করে আসছে।
ঠিক এই ঘটনার লেশ কাঠতে না কাঠতে অন্যান শিক্ষা প্রতিষ্টানে
আন্দোলনের ডাক ঢুল বেঁজে উঠে।
সিলেটের বিশ্বনাথ এখন আন্দোলনের নগরীতে পরিণত হয়েছে,
“বিশ্বনাথে নিরাপত্তা চেয়ে মফিজ আলী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিডি”
নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে মিছিল নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছে প্রায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় সাধারণ ডায়রি নিলে ও থানা প্রশাসনের আশ্বাসে থানা ত্যাগ করেন বিশ্বনাথ পৌর শহরের হাজী মফিজ আলী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩রা সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানায়।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ৩-৪দিন ধরে উপজেলায় বালিকাদের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাজী মফিজ আলী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিতও দেয় তারা। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে এলে স্কুলের প্রধান গেইট তালাবদ্ধ দেখে মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট যায় তারা। সেখান থেকে বিকেল ৩টায় মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে তাদের নিরাপত্তা চেয়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এসময় থানার ওসি তদন্ত আব্দুস রবের কাছে তারা অভিযোগ করে, তারা আন্দোলন করায় তাদের বেশ কয়েকজনের অভিভাবকদের হুমকি দিচ্ছেন অধ্যক্ষের লোকজন। তাই তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ¯েøাগানে থানা প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলে তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে থানার ওসি তদন্ত আব্দুস রব জানান, শিক্ষার্থীরা এসেছে, আমরা তাদের জিডি নিয়েছি। পুলিশ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“বিশ্বনাথে ৫ দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন”
বিশ্বনাথ উপজেলায় দূর্নীতি, অনিয়ম, দখল, চাঁদাবাজী, অবৈধ পার্কিং, বাজারের ফুটপাত দখল ও মাদকমুক্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খল, পরিষ্কার, পরিবেশ বান্ধব বিশ্বনাথ গড়ার লক্ষ্যে এক বিশাল মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩রা সেপ্টেম্বর) পৌর শহরের বাসিয়া সেতুঁতে ছাত্র সমাজের ৫ দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপূর্বে সকাল ১১ টা থেকে পৌর এলাকার প্রায় ১০-১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার সহকারে মানববন্ধনে যোগ দেয়। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতিবাজ
ও আওয়ামী হাসিনালীগের অনুগত স্বৈরাচার স্বভাবের সকল
প্রধান শিক্ষক, ও অধ্যক্ষের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
মাদানিয়া মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র মাওলানা দুলাল আহমদ ও মাওলানা সাঈদ আহমদের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হাজী মফিজ আলী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী তানিয়া বেগম, মাদানিয়া মাদ্রাসা ছাত্র জাহেদুর রহমান, শাকিল আহমদ, আসাদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল জামিল, মুস্তাফিজুর রহমান, রামসুন্দর সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষার্থী তাওহিদ আহমদ, আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ইয়াহহিয়া আহমদ, মিজানুর রহমান, ক্যামব্রিয়ান কলেজের ছাত্র ইমদাদ আহমদ, শিক্ষক প্রতিনিধি মামুন হোসেন ও ইলিয়াছুর রহমান এবং ৫টি দাবি তুলে বক্তব্য রাখে কলেজ ছাত্র ময়নুর রহমান, ফেরদৌস আহমদ।
বিশ্বনাথে পালিয়ে গেলেন মাদ্রাসার সুপার : ইউএনও বরাবরে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
বিশ্বনাথে রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল পঞ্চগ্রাম মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রায়হানউদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় স্ব-পরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানাগেছে। এমন অভিযোগ এনে আজ মঙ্গলবার (৩রা সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, ১লা সেপ্টেম্বর বৃহত্তর আমতৈল গ্রামের পঞ্চায়েতের সকল পদের নিয়োগ বানিজ্যের ফলে তাঁর আত্মসাৎকৃত অর্থের হিসাব প্রদানের জন্য উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তিনি পালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সুষ্ঠভাবে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য সভাপতি হিেেসবে ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে আমতৈল পঞ্চগ্রাম মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রায়হানউদ্দিন মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করে বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
“বিশ্বনাথে আওয়ামীলীগ অনুসারী শিক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল রাজপথ”
‘লেগেছে রে, লেগেছে-রক্তে আগুন লেগেছে’ রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়”
রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকবো – দুর্নীতির কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”
“আওয়ামীলীগের দালাল রা হুশিয়ার সাবধান ” ইত্যাদি শ্রুতিমধুর ও তেজ্বসী কিংবা ‘এক দফা এক দাবী-প্রধান শিক্ষক তুই কবে যাবি’। ছাত্র-ছাত্রীদের এমন এমন গরম গরম শ্লোগানে, হাততালিতে সিলেটের বিশ্বনাথ প্রায় প্রতিদিন উত্তাল হয়ে উঠে।
উপজেলার ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আওয়ামীলীগ অনুসারী দুর্নীতিগ্রস্থ “হাসিনালীগের ” প্রধান শিক্ষক অধ্যাক্ষ, সহ বিগত ১৬ বছর শিক্ষার্থীদের উপর জুলুম নির্যাতন করে আসা এজেন্ট মাষ্টারদের ধরে ধরে বহিস্কার ঘোষনা করে ছাত্র আন্দোলনের শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এনিয়ে বিশ্বনাথে দিনভর প্রতিদিন চলছে টানটান উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবক মহলেও বেড়ে গেছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশ ছিল উত্তাল। ৯ দফার আন্দোলন অবশেষে পরিণত হয় ১ দফার আন্দোলনে। পৃথিবীর ইতিহসে সবচেয়ে দ্রত সময়ের মধ্যে পতন হয় বাকশাল হাসিনালীগ সরকারের।
এরপর সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদত্যাগের দাবির হিড়িক পড়ে।
এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসী অধ্যূষিত বিশ্বনাথ উপজেলায়ও।
সম্প্রতি উপজেলার বিশঘর আনরপুর প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসা ও এলাহাবাদ আলিম মাদ্রাসা প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্র-জনতা।
রবিবার উপজেলার ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা সদরে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মুখে পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
সকাল ৮ টায় থেকে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
সন্ধা ৮ পযন্ত বিশ্বনাথ উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান মিছিল কর্মসূচী পালন করে নিজ স্কু্লের প্রধান শিক্ষক ” সিলেট আওয়ামী পেশাজীবি লীগের সদস্য ফারুক ইকবালের পদত্যাগের দাবিতে।
সকাল ৯টায় বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসার সম্মুখ থেকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা নো’মান আহমদের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতা ও বেলা ১১টায় হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছার পদত্যাগের দাবিতে প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা বিভোক্ষ মিছিল সহকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসে।
উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসায় এসে তালাবদ্ধ করে বন্ধ করে দেয় এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়।
অন্যদিকে সকাল থেকে বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈলস্থ পঞ্চগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রায়হান উদ্দিনের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। গতকাল ও আজ দিনভর মিছিলে মিছিলে উত্তাল ছিল বিশ্বনাথ।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, ২টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে দুটি স্মারকলিপি দাখিল করা হয়েছে এবং সেগুলো সংশ্লিষ্ঠদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্রী নেহারুন নেছা বলেন, কেউ আমার বিরুদ্ধে দূর্নীতি প্রমাণ করতে পারবেনা। আমি শতভাগ স্বচ্ছ আছি। আমার বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ করেছে তারা শিক্ষার্থী কিনা এটা সবার দেখা উচিত। যারা বিক্ষোভ করেছে তাদের অধিকাংশই বয়স্ক মহিলা ও পুরুষ। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। বিচারের ভার আমি বিশ্বনাথবাসি ও দেশবাসীর দিলাম।
বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করানো হচ্ছে। ভাইরাল অডিও তার প্রমাণ। আমি একটি স্বার্থনেষী মহলের কাছে ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। ইতিমধ্যে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি থানায় একটি জিডি এন্টি করেছি। তার প্রতিকার না পেলে আমি আইনী সহায়তা চাইব।#